অ্যাডিলেইড ওভাল একটা গর্জন শুনল। বাঘেদের গর্জন, আসলে সিংহদের হারিয়ে দেওয়ার উল্লাস-ধ্বনি।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বল। রুবেল হোসেনের করা বলটিতে বোল্ড হয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান জেমস অ্যান্ডারসন।
বাংলাদেশের
পেসার রুবেল দু'হাত দুই দিকে ছড়িয়ে দিলেন। তীব্র গর্জনে বিশ্বকে জানিয়ে
দিতে চাইলেন-ইংলিশদের বধ করে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের
কোয়ার্টার-ফাইনালে।
রুবেল যেন জয়োৎসবের শুরু করে দিলেন কেবল। রুবেলের ওই গর্জনের পথ ধরে অ্যাডিলেইড ওভালে শুরু হয়ে যায় অসাধারণ এই সাফল্যের উল্লাস।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছেই ছিলেন সাব্বির রহমান। দু হাত মেলে দেওয়া অধিনায়ককে আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন সাব্বির।
এরপর
আনন্দে মাশরাফি মাঠেই শুয়ে পড়েন। চারদিক থেকে একে একে তার দিকে আসতে থাকেন
অন্যরা। মাঠে শোয়া মাশরাফিকে আলিঙ্গন করেন তারা। একে একে সবাই।
পুরো
দল নিয়ে আবার উঠে দাঁড়ান মাশরাফি। এরই মধ্যে মাঠে নেমে আসেন কোচিং
স্টাফরা। শুরু হয় রুবেলকে ঘিরে উচ্ছ্বাস। নিজের শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে
বাংলাদেশের জয়ের শেষ পর্বের নায়ক তিনিই।
ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ,
বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক, ট্রেনার, ফিল্ডিং কোচ…সবাই এসে রুবেলের সঙ্গে
আলিঙ্গন করেন। পুরো দলই তখন আসলে একে অপরের সঙ্গে শেষ আটে ওঠার আনন্দ ভাগ
করে নিতে ব্যস্ত।
এরই মধ্যে কোনো এক সমর্থকের হাত থেকে মাশরাফির হাতে
আসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সেই পতাকা মাথায় বেধে নিয়ে উল্লাসে অংশ নেন
মাশরাফি। এক সময় প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় আসে।
মাশরাফি পতাকা মাথায়
নিয়ে চলে যান প্রতিক্রিয়া জানাতে। আর সেখানেই তিনি জয়টা উৎসর্গ করেন দীর্ঘ
নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা মুক্তিযোদ্ধাদের।
প্রতিক্রিয়া
জানিয়ে মাশরাফি ফিরলে আবার শুরু হয় উৎসব। এমন দিনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের
এই উচ্ছ্বাস আর উদযাপন এতটাই হওয়ার কথা। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন
দিন তো আর আসেনি!
0 comments:
Post a Comment